শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে পল্লী বিদ্যুতের আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগে অবৈধভাবে সেচপাম্প চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ বৈধ সেচপাম্প মালিকদের।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে শতশত অবৈধ সেচপাম্প চালানো হচ্ছে আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে। অনুমোদনবিহীন এসব সেচপাম্প অবাধে চালানো হচ্ছে। ফলে বিপাকে পরেছেন বৈধ সেচপাম্প মালিকরা।
অনুসন্ধ্যানে জানা গেছে, ঝিনাইগাতী উপজেলার ৭ টি ইউনিয়নে বিএডিসি'র অনুমোদনপ্রাপ্ত পল্লী বিদ্যুতের আওতায় বৈধ সেচপাম্প রয়েছে প্রায় ৬শ'র মতো। অপরদিকে, আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে সহস্রাধিক সেচপাম্প।
অভিযোগ প্রকাশ, অবৈধভাবে সেচ পাম্প চালানোর কারণে বৈধ সেচপাম্প মালিকরা চরম বিপাকে পরেছেন। অবৈধ সেচপাম্প মালিকরা নিজের জমি চাষাবাদের পাশাপাশি অন্য কৃষকদের জমিও চাষাবাদ করে আসছেন। অথচ লাখ লাখ টাকা খরচ করে উপজেলা সেচ কমিটির অনুমতি নিয়ে সেচপাম্প স্থাপনকারী সেচপাম্প মালিকরা এখন দিশেহারা হয়ে পরেছে। তারা সেচ দেয়ার মতো জমি পাচ্ছে না। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
সেচপাম্প মালিকরা জানান, বৈধ সেচপাম্পের বিদ্যুৎ সরবরাহে ভর্তূকি দিচ্ছে সরকার। আর আবাসিক বিদ্যুৎ সরবরাহে সে ভর্তূকি নেই। এতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি লাভবান হচ্ছে। একারণে আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে অবৈধ সেচপাম্প মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
এবিষয়ে ভূক্তভোগী সেচপাম্প মালিক উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের কাড়াগাঁও গ্রামের আবুল কাশেম উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি তার আশপাশের প্রায় ১০ টি অবৈধ সেচপাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য এ আবেদন করেন।
এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) হাফিজুর রহমান পত্রিকায় না লেখার শর্তে বলেন, এ মুহুর্তে এসব বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হলে উঠতি বোরো ফসলের ক্ষতি সাধিত হবে।